আজকাল অনেকেরই এটাই অভিযোগ। অবশ্য আধুনিক জীবন যাত্রায় এত দূষণ, স্ট্রেস আর পুষ্টির অভাবের মাঝে এটাই তো স্বাভাবিক। প্রতিদিন রাতে কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল ও এক চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে গরম করুন। হালকা ঠাণ্ডা করে মাথায় ভাল করে ম্যাসাজ করুন। এতে মাথার ত্বক ও চুল দুই-ই পুষ্টি পাবে।সঠিক যত্নে চুল বড় হওয়া সম্ভব। আর এরজন্য রয়েছে প্রতিষ্ঠিত কিছু উপায়।
নিচে অবলম্বনে চুল লম্বা করার কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।
তেল
আপনার চুল তাজা হয়ে উঠতে পারে তেলে। তাই তেল বাদ দিয়ে চুলের কোনো আধুনিক যত্ন সম্ভব নয়। প্রতিদিন রাতে কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল ও এক চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে গরম করুন। হালকা ঠাণ্ডা করে মাথায় ভাল করে ম্যাসাজ করুন।
আগা ছাঁটা
অনেকেই মনে করেন, কষ্ট করে বাড়ানো চুল ঘন ঘন ছাঁটলে ছোট হয়ে যাবে। আসলে তার বিপরীত, তাই প্রতি তিন মাস পরপর চুলের আগা ছাঁটুন। তা না হলে চুলের ডগা ফেটে যাবে আর চুলও লম্বা হবে না।
ওষুধ
অনেকের শারীরিক কোনো অসুখের কারণে চুল লম্বা হতে চায় না। কারও বা চুল ঝরে যাওয়ার কারণও কোনো অসুখ। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভিটামিন বি, বায়োটিন ও অ্যান্টিঅ্যাক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধের প্রয়োজন পড়লে তাও নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে।
কন্ডিশনার
শ্যাম্পুর পর অনেকেই কন্ডিশনার ব্যবহার করেন না। চুল লম্বা করতে চাইলে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতেই হবে। নইলে চুল রুক্ষ্ম হবে ও আগা ফাটবে।
ঠাণ্ডা পানি
বর্ষা হোক বা শীত চুল ধোয়ার জন্য গরম পানি একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না। সবসময় ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন। এমনকি শ্যাম্পু, কন্ডিশনারের পর চুলে ভাল করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে দিন।
যন্ত্র নয়
ঘন ঘন চুল স্ট্রেট করা, কার্লা করা বা শুকনোর জন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রের ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এই সব যন্ত্রের কারণেই চুল নষ্ট হয় দ্রুত। গোড়া আলগা হয়, আগাও ফাটে। তাই মাসে একবারের বেশি যন্ত্রের ব্যবহার না করাই ভাল।